প্রত্ন-ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা
অবয়ব
প্রত্ন-ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা হল ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাসমূহের কল্পিত পূর্বসূরী ভাষা। ভাষাবিজ্ঞানীরা এরকম ভাষার অস্তিত্বের কথা অনেক দিন ধরে মেনে নিলেও এর বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য নিয়ে এখনও বিতর্ক চলছে।
ধারণা করা হয় প্রত্ন-ইন্দো-ইউরোপীয় একক ভাষা হিসেবে খ্রিস্টপূর্ব ৩৫০০ অব্দে নিউলিথিক যুগে ব্যবহৃত হত। তবে এ সম্পর্কিত মতভেদ রয়েছে। কুরগান তত্ত্ব অনুসারে প্রত্ন-ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষার আদি স্থান হল পূর্ব ইউরোপের পন্টিক-কাস্পিয়ান অঞ্চল।
প্রত্ন-ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষার রূপমূলতত্ত্ব জটিল এবং এতে ধাতু বা শব্দের রূপ, স্বর পরিবর্তন ও উচ্চারণগত ভিন্নতা দেখা যায়। বর্তমান সময়ের বহুল ব্যবহৃত স্পেনীয়, ইংরেজি, হিন্দুস্থানি (হিন্দি ও উর্দু), পর্তুগিজ, বাংলা, রুশ, পাঞ্জাবি, জার্মান, ফরাসি, ও মারাঠি ভাষা প্রত্ন-ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা গোত্রের অধিভুক্ত।
আরও পড়ুন
[সম্পাদনা]- Mallory, JP; Adams, DQ (2006), The Oxford Introduction to Proto-Indo-European and the Proto-Indo-European World, Oxford: Oxford University Press, আইএসবিএন ৯৭৮০১৯৯২৯৬৬৮২।
- Meier-Brügger, Michael (2003), Indo-European Linguistics, New York: de Gruyter, আইএসবিএন ৩-১১-০১৭৪৩৩-২।
- Szemerényi, Oswald (1996), Introduction to Indo-European Linguistics, Oxford।